কবিতা- জাগরণের আলো

জাগরণের আলো
-মঙ্গল মণ্ডল

 

 

রাত অনেক হয়েছে
এখন রাস্তায় কেবল নিস্তব্ধতা
ওখানে কাদের কিচিরমিচির চলছে
মেয়েটা বোধহয় রয়ে গেছে একা,
দৌড়ে পালানোর চেষ্টা চলছে যেন
প্রতি নিয়ত , অক্ষম হচ্ছে পায়ের বল।
ওরা যে চারজন মেয়ে একা,
শরীরের অঙ্গ গুলো যেন
শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত বাঁচার চেষ্টার যুদ্ধ চালিয়ে গেল ,
তবু হারতে হল পিশাচের দলের কাছে ,
আর পারল না দৌড়াতে পায়ের পেশিগুলো,
পারল না সে নিজেকে বাঁচাতে ,

শরীর যেন দেহের মায়া ছেড়ে চলে গেল ,
কিন্তু যন্ত্রণা?
যন্ত্রণা তো ছাড়লো না তাকে ,
প্রতিমুহূর্তের এমনি কত চিৎকার বাতাসে মিশে আছে,
বাতাস তা লুকিয়ে রেখেছে,
শেষ দেহ না জানি কোন কিনারায় পড়ে আছে ,
কত অসহায় দেহ নিরবেই হারিয়ে গেছে,
নিষ্পাপ প্রাণের চেয়েও তাদের কামনা বড় হল? ,
বড় হল তাদের পৈশাচিকতা?

পৃথিবীতে জঘন্য কাজের অবলুপ্তি যেদিন হবে
হয়তো সেদিন চারিদিক রামধনু আর
চারিদিক নতুন প্রকৃতি নতুন করে গড়বে।

একা যেতে দাও হে পৃথিবী
মেয়ে কি ছেলে সমস্যা কি?
যেদিন অন্ধকার হবে
তুমি আলো দেখিও দিওনা আর ফাঁকি।
ওরা স্বাধীন ভাবে চলুক নির্ভয়ে আলো আঁধারে
এক দুটো ভুল যেন না হয় ,
যেন আর কলঙ্ক না করে।

ফিরে আসুক এক নতুন দিগন্ত ,
নারীপুরুষ নির্বিশেষে সবাই হোক একত্রে জাগ্রত।

Loading

Leave A Comment